মেডিকেল রিপোর্টে এটা প্রথমেই বেরিয়ে এসেছিলো যে, তনু হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। কিন্তু সেই রিপোর্টটি জনমনে বিশ্বস্ততা জোগাতে পারেনি বিধায় তদন্তের সুবিধার্থে আবারো লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর এই দ্বিতীয়বারের টেস্টেই বেরিয়ে এসেছে ভয়ংকর সব তথ্য !
হ্যাঁ, তনু হত্যাকান্ডের সাথে কোনো মনুষ্যজাতি জড়িত নয়। বরং একটু ভালুক এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। ধর্ষণ নয়, মূলত ভালুকের আক্রমণের শিকার হয়েই মারা গেছে সোহাগী জাহান তনু। লাশের সুরতহাল শেষে এমনটাই নিশ্চিত করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা সংলগ্ন জঙ্গলগুলোতে কিছু বন্য ভালুকের বসতি আছে। এটা তনু জানতেন না। হত্যাকান্ডের দিন বাসায় ফেরার পথে একটি ভালুক লাফিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পথ আটকে দেয়। তনু তখন ভয়ে জঙ্গলের দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সেখানে থাকা আরেকটি ভালুক তনুর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এবং চুল ধরে টানা হ্যাঁচড়া করে। একারণেই তনুর মাথায় ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ থেকে বোঝা যায়, তনু হত্যাকান্ডটিতে কোনোরকম ধর্ষণ বা পরিকল্পিত বিষয় নেই। পুরো ব্যাপারটিই একটি দূর্ঘটনা। যা একটি ভালুকের দ্বারা ঘটানো হয়েছে। কুমিল্লা সেনানিবাসের আশেপাশে আরো ভালুক থাকতে পারে, এজন্য এলাকাবাসীদের সাবধানে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তদন্তকারী একটি দল।
No comments:
Post a Comment